প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২২, ১৯:২৭
মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতার দাফন
হাজীগঞ্জের বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজেসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মকবুল আহমেদ আখন্দকে ৩ দফা জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
|আরো খবর
এর আগে গত রোববার রাজধানীর আরামবাগ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারনে ইন্তেকাল করেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৩২নং ওয়ার্ডের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক কমিশনার ছিলেন।
সোমবার বাদ জোহর বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে মরহুমের ২য় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের প্রথম জানাজা রাজধানীর আরামবাগ বালুর মাঠে ও ৩য় জানাজা মরহুমের নিজ বাড়ি হাজীগঞ্জে রাজারগাঁও ইউনিয়নের আহমেদাবাদ আখন বাড়ির সামনে ছাফেজি মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
বলাখাল মকবুল আহমেদ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজা পূর্ববর্তী কফিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ স্থানীয়রা। এর আগে কলেজ মসজিদের মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জানাযার ইমামতি, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা নূর মোহাম্মদ।
কলেজের আয়োজনে মরহুম আলহাজ্ব মকবুল আহমেদ আখন্দের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মজুমদার,কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পারভেজ মজুমদার নিশাদ, হাজী মো. কামাল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন লিটন, মোস্তাফিজুর রহমান, এস.এম লিয়াকত হোসেন, কাজী নাসির উদ্দিনসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রমূখ।
এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খাঁন বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মাহমুদ হোসেন, বলাখাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাজের লিটন ভুইয়া, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তসলিম আলম মজুমদার শিশির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এম সাখাওয়াত হোসেন, মো. শহীদুল্লাহসহ শতাধিক বলাখালবাসী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার বিকালে আলহাজ্ব মকবুল আহমেদ আখন্দ বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর আরামবাগের নিজ বাসায় মারা যান। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের আহমেদাবাদ (রামরা) গ্রামের আখন্দ বাড়ির বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ৩ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর মকবুল আহমেদ ইসমাইলিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের প্রতিষ্ঠাতা এবং একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া নিজ বাড়ির সামনে একটি এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ছিলেন।